প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০১৮ ৭:১০ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
অবশেষে কক্সবাজারে ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হল প্রধান শিক্ষক। জেলায় কর্মরত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব হিসাবে প্রধান শিক্ষকের পদে পদায়নের জন্য বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৫টি শর্তে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ আবদুল ওয়াহেদ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বের এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ২০১৩ সালের পর থেকে কক্সবাজারে ১৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারনে পড়ালেখার মারাত্মক বিঘœ ঘটে। সরকার চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিব্য প্রথমিক সমাপনি পরীক্ষার আগে ১৪২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করায় নিঃসন্দেহে ওই প্রতিষ্ঠানসমুহে পড়ালেখার অগ্রগতি হবে। তবে আরো ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ কখন পূরণ হবে কেউ জানেনা।
গত বৃহস্পতিবার জারিকৃত জেলার উপজেলা ভিত্তিক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিসংখ্যান হল-কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৮ জন, রামুতে ৩২ জন, উখিয়ায় ২২ জন, টেকনাফে ২৪ জন, পেকুয়ায় ১৩ জন, কুতুবদিয়ায় ২৩ জন। চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের শর্তজুড়ে দেওয়া হয়েছে,চলতি দায়িত্বকে পদোন্নতি হিসাবে গন্য করা যাবেনা, তারা নিজ নিজ স্কেলে বেতন ভাতাদি আহরণ করবেন, পিএসসির সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে শূন্যপদ পুরণযোগ্য এবং সেক্ষেত্রে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ জেষ্ঠতার ক্ষেত্রে কোন অগ্রগণ্যতা বা অধিকার বর্জন করবেন না। জেষ্ঠতার তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ মন্ত্রনালয় সমাধান করবেন। আদেশ জারির ৫ কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পদে পদায়ন করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকগণকে একই উপজেলার সবচেয়ে নিকটবর্তী বিদ্যালয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। ওই শর্তের ব্যত্যয় ঘটলে এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি ( আপিলও শৃংখলা) বিধি ১৯৮৫ অনুয়ায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫ কর্ম দিবসে ১৪২ জন সহকারি শিক্ষকের প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের এবং উক্ত বিদ্যালয়সমুহে পদ শূন্য হওয়ার পর পড়ালেখার কি অবস্থা হবে এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম জানান, নির্দেশনা অনুযায়ি আমরা ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে ১৪২ জন কে পদায়ন করার চেষ্টা করব, যদি না পারি তবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে তা সমাধান করব। পদায়নের কারনে ১৪২টি সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য হলেও পাঠদানে উক্ত বিদ্যালয়সমুহে কিছুটা বিঘœ হবে। তবে একটি বিদ্যালয় থেকে একাধিকজন প্রধান শিক্ষকের পদে চলে গেলে সে স্কুল পাঠদানে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে ওই কর্মকর্তা স্বীকার করেন। আগামী নিয়োগে উক্ত শূন্যপদ পূরণ হলে ক্ষতি কোন রকমে কাটানো যাবে বলে তিনি জানান। জেলার ১৪২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শূন্য থাকা প্রধান শিাক্ষকের পদ পূরন হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশাল মাইলফলক হিসাবে দেখছেন সচেতনমহল। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...

আরাকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী যুবকের মৃ’ত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ...